বিশ্বজুড়ে উচ্চশিক্ষার মান, সুযোগ-সুবিধা এবং শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়মিত র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (QS)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের ‘সেরা শিক্ষার্থীবান্ধব শহর’-এর তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল উঠে এসেছে শীর্ষ স্থানে।
এবারের তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো আগেরবারের (২০২৫ সাল) শীর্ষস্থানে থাকা লন্ডন এখন তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে ওঠে এসেছে টোকিও। র্যাংকিংয়ের ইতিহাসে এই প্রথম শীর্ষ দুই শহরই এশিয়ার।
কোন মানদণ্ডে নির্ধারিত হয় র্যাঙ্কিং?
কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) এই র্যাঙ্কিং তৈরি করেছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ভিত্তিতে শহরগুলোর মূল্যায়ন করে। যেমন আকর্ষণীয় শহর, জীবনযাত্রার ব্যয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণমান, শিক্ষার্থীদের মধ্য বৈচিত্র্য, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
কিইএস বেস্ট স্টুডেন্ট সিটিজ ২০২৬-এর সেরা ১০ শহর-
১. সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া, স্কোর ১০০
২. টোকিও, জাপান, স্কোর ৯৯.৯
৩. লন্ডন, যুক্তরাজ্য, স্কোর ৯৭.১
৪. মিউনিখ, জার্মানি, স্কোর ৯৬.৩
৫. মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া, স্কোর ৯৫.৭
৬. সিডনি, অস্ট্রেলিয়া, স্কোর ৯৪.৭
৭. বার্লিন, জার্মানি, স্কোর ৯৩.৩
৮. প্যারিস, ফ্রান্স, স্কোর ৯৩.৩
৯. জুরিখ, সুইজারল্যান্ড, স্কোর ৯১.৫
১০. ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া, স্কোর ৯০.৮।
এর পরের স্থানে আছে সিঙ্গাপুর (১১তম), কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া (১২তম), বেইজিং, চীন (১৩তম), তাইপে, তাইওয়ান, (১৪তম) বোস্টন, যুক্তরাষ্ট্র ও এডিনবার্গ, যুক্তরাজ্য (১৫তম)। ঢাকা ১৩৬তম স্থানে
কেন এশিয়া এগিয়ে?
শিক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এশিয়ার শহরগুলো এখন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মানেই নয় বরং সাশ্রয়ী জীবনযাত্রা, আধুনিক অবকাঠামো, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য সুযোগ-সুবিধা এবং শক্তিশালী চাকরির বাজারের দিক থেকেও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এখন অনেক শিক্ষার্থী ইউরোপ বা আমেরিকার পরিবর্তে সিউল, টোকিও, কুয়ালালামপুর কিংবা বেইজিংয়ের মতো শহরকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য শহর বাছাই এখন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ের ওপর নির্ভর করছে না-বরং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে চাকরির সুযোগ, ব্যয়ের ভারসাম্য এবং অভিজ্ঞতা। আর এই বিবেচনায় এশিয়ার আধিপত্য স্পষ্ট হয়ে উঠছে দিনকে দিন।