চির নিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলাদেশ মন্ডলীর মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফাদার সুনীল ডানিয়েল রোজারিও। ৫ জুন আনুমানিক দুপুর ১:৪০ মিনিটে রাজশাহী খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পূর্বে বেশ কয়েক বছর তিনি অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৫ বছর। ফাদার সুনীল ডানিয়েল রোজারিও ছিলেন বাংলাদেশ মন্ডলীর মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
ফাদার রোজারিও ছিলেন রেডিও ভেরিতাস এশিয়া বাংলা বিভাগের সাবেক প্রযোজক ও খ্রিস্টিয় যোগাযোগ কেন্দ্রের পরিচালক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রেডিও ভেরিতাস এশিয়া বাংলা বিভাগ ও সাপ্তাহিক প্রতিবেশিতে সেবা দিয়েছেন।
প্রয়াত ফাদার ডানিয়েলের জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে বোর্ণী ধর্মপল্লীর পারবোর্ণী গ্রামে। বাবার নাম ভিক্টর রোজারিও ও মা আগ্নেশ গমেজ।
ম্যাট্রিক পাস করার পর তিনি সেমিনারীতে প্রবেশ করেন। সেমিনারীর সকল অধ্যয়ন শেষে তিনি ৪ জানুয়ারি ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে যাজক পদে অভিষিক্ত হন।
এরপর তিনি ফিলিপিন্সে দুই মেয়াদে সাত বছর রেডিও ভেরিতাসের বাংলা বিভাগের প্রযোজক এর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও খ্রিস্টিয় যোগাযোগ কেন্দ্রে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফাদারের লেখার হাত ছিল চমৎকার। লেখনীর আচরে প্রত্যেকটি অঙ্গণে তিনি সোনার ফসল ফলিয়েছেন। প্রবন্ধ, নাটিকা, গান ও সংবাদ লেখার ক্ষেত্রে ফাদার ছিলেন সিদ্ধহস্ত।
তিনি বাংলাদেশ মণ্ডলীর বিভিন্ন ধর্মপল্লীতে অনেক গুরুত্বের সাথে বিভিন্ন ধরনের পালকীয় সেবা দিয়ে গেছেন। তার মধ্যে গুল্টা, মহিপাড়া ও বগুড়াতে পাল-পুরোহিত হিসেবে পালকীয় সেবাকাজ করেছেন।
এছাড়াও তিনি বগুড়াতে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অনলাইন রেডিও জ্যোতির পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। আর এই সময়ে রেডিও জ্যোতির জন্য বাইবেলভিত্তিক নাটিকা ‘জীবন বাণী’, ও ছোটদের নাটিকাগুচ্ছ ‘কাকলী’ বইয়াকারে প্রকাশ করেন।
ফাদার রোজারিও জ্যোতির অনুষ্ঠানের জন্য ‘যুব কল্লোল’, ‘অন্বেষণ ও নার্সিং হোম’ ‘চার্চ নিউজ’, ‘আজকের গণমাধ্যম’, ‘আন্তর্জাতিক সমীক্ষা’, ও ‘মহিলাঙ্গন’ বিভাগের জন্য ভিন্নস্বাদের লেখা লিখতেন। পরবর্তীতে রাজশাহী খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেন্টারে অবস্থান করে তিনি রেডিও জ্যোতি’র দেখাশুনা করতেন; এবং পরবর্তীতে মুশরইল ধর্মপল্লীতে সহকারী পাল পুরোহিতের দায়িত্বও পালন করেছেন।
বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলীতে উপাসনা সঙ্গীতে যে কয়েকজন ব্যক্তি অসামান্য অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে ফাদার সুনীল ডানিয়েল রোজারিও অন্যতম। সূত্র: আরভিএ