বিশ্বের রোমান ক্যাথলিকদের নতুন পোপ নির্বাচনের গোপন কনক্লেভে বৃহস্পতিবার ভোটাভুটির দ্বিতীয় দিনেও এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি কার্ডিনালরা।
এদিনও সিস্টিন চ্যাপেলের ছাদ থেকে উঠেছে কালো ধোঁয়া, যা বোঝায়, ভোটে এখনও কেউ প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। ফলে নির্বাচিত হননি নতুন পোপ।
সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে জড়ো হওয়া হাজারো মানুষ চোখ রেখেছেন চ্যাপেলের ছাদের ছোট চিমনিতে। বৃহস্পতিবার ঠিক দুপুরের আগে (গ্রিনিচ সময় ১০টা) সেখানে দেখা যায় কালো ধোঁয়া।
নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে ইতালিতে বেড়াতে যাওয়া টম বারবিত্তা বলেন, “প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন অসাধারণ-সহজ, নিরহঙ্কার। আমি চাই কেউ তার মত কেউ নির্বাচিত হোক।”
আধুনিক সময়ে প্রথম দিনেই পোপ নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই। তবে দ্বিতীয় দিনে নির্বাচনের সম্ভাবনা থাকে বেশি। ২০১৩ সালে পোপ ফ্রান্সিস এবং ২০০৫ সালে পোপ বেনেডিক্ট দ্বিতীয় দিনেই নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নির্বাচনে এবার অংশ নিচ্ছেন ৭০ দেশের ১৩৩ জন কার্ডিনাল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এটি পোপ ফ্রান্সিসের অধীনে গির্জার বৈশ্বিক বিস্তারের ইঙ্গিত বহন করে।
অগ্রবর্তী প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন ইতালির কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিন এবং ফিলিপিন্সের লুইস আন্তোনিও তাগলে।
তবে কারও পক্ষে এককভাবে ভোট জোগাড় না হলে ভোটগুলো অন্যদের দিকে চলে যেতে পারে। সম্ভাব্য অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন: ফ্রান্সের জ্যঁ-মার্ক আভেলিন, হাঙ্গেরির পেতার এর্দো, যুক্তরাষ্ট্রের রবার্ট প্রেভোস্ট, ইতালির পিয়েরবাতিস্ত পিজ্জাবাল্লা এবং ফিলিপিন্সের পাবলো ভার্জিলিও ডেভিড।
ভোট চলাকালে সিস্টিন চ্যাপেলে কার্ডিনালদের বহির্বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। ফোন, ইন্টারনেট সব বন্ধ। ভোট হয় সিস্টিন চ্যাপেলে, আর রাত্রিযাপন ভ্যাটিকানের গেস্টহাউসে।
পোপ ফ্রান্সিসের সময় গির্জায় উদারপন্থার জোয়ার এলেও অনেক কার্ডিনাল চাইছেন আরও সংযত এবং স্থিতিশীল নেতৃত্ব। কেউ কেউ ফিরতে চান ঐতিহ্যবাহী রক্ষণশীল কাঠামোয়।