চ্যাটজিপিটির ভেতরেই মিলবে নানা সেবা, আসছে অ্যাপ স্টোর

প্রকাশ: রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png নিজস্ব প্রতিবেদক
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

এক সময় চ্যাটজিপিটি ছিল কেবল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার একটি স্মার্ট চ্যাটবট। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ধারণা বদলে যাচ্ছে। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এই সেবাটি ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। এরই অংশ হিসেবে চ্যাটজিপিটির ভেতরে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ চালুর সুযোগ চালু করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই।

একই জায়গায় একাধিক ডিজিটাল সেবা
নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা চ্যাটজিপিটির মধ্যেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডিজিটাল সেবা যুক্ত করে কাজ করতে পারবেন। আলাদা আলাদা অ্যাপে না গিয়ে, একটি প্ল্যাটফর্ম থেকেই নানামুখী কাজ সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। 

ওপেনএআই জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটির জন্য তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।

অ্যাপ ভাণ্ডার ও টুলস মেনুর ব্যবহার
এর ফলে চ্যাটজিপিটির ভেতরে একটি অ্যাপ ভাণ্ডার তৈরি হচ্ছে, যা ব্যবহার করা যাবে টুলস মেনু থেকে। ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাপ নির্বাচন করে সরাসরি চ্যাটের মধ্যেই তা চালাতে পারবেন। এতে কাজের গতি যেমন বাড়বে, তেমনি ব্যবহার অভিজ্ঞতাও হবে আরও সহজ ও সাবলীল।

ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন কাজে সম্ভাব্য পরিবর্তন
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ সফল হলে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। ভ্রমণ বুকিং, বাসা বা ফ্ল্যাট খোঁজা, ডিজাইন তৈরি কিংবা নিত্যপণ্যের অর্ডারের মতো কাজ আলাদা অ্যাপে না গিয়ে চ্যাটজিপিটির ভেতরেই করা সম্ভব হবে। ফলে একাধিক অ্যাপ বদলানোর ঝামেলা কমবে।

আগের পরীক্ষামূলক উদ্যোগ
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সীমিত পরিসরে কয়েকটি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সেবা চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। তখন ভ্রমণ, সংগীত, আবাসন ও ডিজাইন-সংক্রান্ত কিছু পরিষেবার মাধ্যমে এই ধারণার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষামূলক সেই উদ্যোগ থেকে ইতিবাচক ফল পাওয়ার পরই বড় পরিসরে এগোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ডেভেলপারদের জন্য নতুন সুযোগ
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ওপেনএআই ডেভেলপারদের জন্য একটি অ্যাপ সফটওয়্যার উন্নয়ন কিট চালু করেছে, যা বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এই কিট ব্যবহার করে ডেভেলপাররা চ্যাটজিপিটির জন্য অ্যাপ তৈরি, পরীক্ষা ও উন্নয়ন করতে পারবেন।

নিরাপত্তা ও অনুমোদনের প্রক্রিয়া
তবে সব অ্যাপ সরাসরি যুক্ত করা হবে না। ওপেনএআই জানিয়েছে, নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও ব্যবহারযোগ্যতা যাচাইয়ের পর অনুমোদিত অ্যাপগুলোই অ্যাপ ভাণ্ডারে যুক্ত হবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা হবে।

ওপেনএআইয়ের লক্ষ্য হচ্ছে চ্যাটজিপিটিকে বাস্তব জীবনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করা। আগামী এক বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে এসব অনুমোদিত অ্যাপ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে চ্যাটবট ও অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যকার পার্থক্য কমে গিয়ে চ্যাটজিপিটি হয়ে উঠতে পারে দৈনন্দিন ডিজিটাল জীবনের একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম। সূত্র: ভেঞ্চারবিট, দ্য ভার্জ
 

image

আপনার মতামত দিন