আমরা ই-কমার্স খাতকে দারিদ্র্য বিমোচনের মৌলিক উপকরণ হিসেবে ছড়িয়ে দিতে চাই

প্রকাশ: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪ রিপোর্ট
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
২৪ ঘন্টা ডাক পরিবহণ সেবা প্রাপ্তি এবং গবেষণা উন্নয়নে বিনিয়োগ সহায়তা চেয়েছেন ই কমার্স খাতের ব্যবসায়ীরা। আর সরকারি বেসরকারি যৌথ অংশীদারীতে ই-কমার্স এর পুরো ইকোসিস্টেমকে সুসংহত করার দাবি জানিয়েছেন ইশপ ও লজিস্টিক সাপোর্ট উদ্যোক্তারা। সেসাথে ই-কমার্স পোর্টাল বা অ্যাপ্লিকেশনে অত্যাধুনিক সর্টিং সিস্টেম, জিপিএস প্রযুক্তির রিয়েল টাইম ট্রাকিং এবং সুরক্ষিত ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা জোরদার এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তারা। সব মিলিয়ে ই-কমার্স ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়নে নীতি পুনর্মূল্যায়নের কথা উঠে আসে আলোচনায়

বুধবার আগারগাঁও ডাক ভবনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের ই কমার্স: বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ই-কমার্স উদ্যোক্তারা। অর্ধশতাধিক উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভায় শুরুতেই উদ্যোক্তাদের দাবি দাওয়া শোনেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।

এ সময় তিনি বিগত সময়ের দূর্বিতায়নকে ই-কমার্স খাতে গ্রাহকদের আস্থা  ফিরিয়ে আনতে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। এই ব্যবসাকে শহর থেকে গ্রামে না গিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এমনকি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিতে 'রিভার্স ই-কমার্স' পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন উপদেষ্টার সহকারী।

তিনি বলেন, আমরা ই-কমার্স খাতকে দারিদ্র্য বিমোচনের মৌলিক উপকরণ হিসেবে  ছড়িয়ে দিতে চাই। এই যেমন ধরুন, আমার বান্দুয়ার গ্রাম থেকে বাঁশ দিয়ে বানানো পণ্য ঢাকার একজন অভিজাত ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে চান। এর মাঝখানের ভ্যালুচেইন এড করে আপনারা দারিদ্র্য বিমোচনের গতি বাড়িয়ে দিতে পারেন। আমার এই রিভার্স চ্যানেলটা গ্রাম থেকে শহরে, অথবা বিদেশে ছড়িয়ে দিয়ে অ্যাক্সেস টু কাস্টমার নিশ্চিত করতে হবে। এমন একটা ই-কমার্স করলে আমাদের লাভ হবে।

ডাক অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় ই-কুরিয়ারের সিইও বিপ্লব জি রাহুল, চালডাল ডট কমেরসহ প্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ, দারাজ বাংলাদেশের প্রধান কর্মকর্তা হোসাইন, কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ'র সভাপতি হাফিজুর রহমান পুলক এবং শপআপের প্রতিনিধি প্রমুখ নিজেদের বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন।

এসব দাবি শুনে সরকারি বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে দেশের ই- কমার্স খাতকে সুদৃঢ় করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডাক সেবার পাশে থাকার আহ্বান জানান বিশেষ সহকারি। ই-কমার্সের অভ্যন্তরীণ সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি কমিটি ও রিসার্চ সেল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অতনশীল ও অপতনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট তৈরি করতে ডাক মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেন ফয়েজ।

সভায় ডাকবাহ পরিচালক জানান, ভালোভাবেই কাজ করছে ডাকের বিলি অ্যাপ। আগামী দুই মাসের মধ্যে ডাকের জিপিএস ট্রাকিং সিস্টেম লেগে যাবে। ডিলিট এপিআই বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও শেয়ার করা যাবে।

এই ব্যবস্থাকে আরো টেকসই করতে ডাকের ট্রাকিং এন্ড ড্রেসিং এবং ভিএমএস সিস্টেমে ড্রপবক্স সংযুক্ত করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানটিকে পোস্টালের সেবা উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। একইসঙ্গে কুরিয়ার সার্ভিস উদ্যোক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ডাক বিভাগকে দেয়া ক্ষতিপূরণ প্রদানের নিয়ম তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন তিনি।
image

আপনার মতামত দিন