তৈরি পোশাক শিল্পের অটোমেশনে জন্য ‘ইউআইসি’ ওয়েব বেজড সফটওয়্যার সল্যুশন উন্মোচন করেছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইউজার টেক সলিউশনস। এটি গার্মেন্টেসের দৈনন্দিন প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদনে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে ডেভলাপার প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সফটওয়্যারটি মানুষের তুলনায় ১০ থেকে ৩০০ গুণ দ্রুত এবং শতভাগ নির্ভুলতায় কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম।
সল্যুশনটির অনলাইন ঠিকানায় ভিজিট করে জানাগেছে, তৈরিপোশাক কারখানার অটোমেশনের জন্য ডাটা প্রোসেসিং,ওইএমএস, রেক্স (আরইএক্স) সার্ভিস দেয়। এছাড়াও বেপজা, থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন গ্রহণ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে প্রণোদনা গ্রহণে সহায়তা এবং মান উন্নয়ন ও গুণমান নিশ্চিত করা এবং কোম্পানির এসওপি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সল্যুশন দিয়ে থাকে।
রাজধানীর রাজারাগের একটি হোটেলে শুক্রবার উন্মোচন করা এই সফটওয়্যারটি রোবোটিক প্রসেস অটোমেশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী সলিউশন বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠানে অটোমেশন সল্যুশনটির বিস্তারিত তুলে ধরেন ইউজার টেক সল্যুশন প্রতিষ্ঠাতা মো. এহসানুল ইসলাম। এসময় সহ প্রতিষ্ঠাতা রোজউর রহমান, ম্যানেজার তানজিল হোসাইন, এজিএম মোঃ নাঈম উদ্দিন, তামজিদ আলম, সাজেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর বিপরীতে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক পরিচালনায় ডক্যুমেন্টেশন তৈরির জন্য ব্যয় হয়েছে। তবে নতুন এই সফটওয়্যার সল্যুশনটি ব্যবহারের মাধ্যমে এই খরচ ১% থেকে ৩% পর্যন্ত কমানো সম্ভব, যার ফলে শিল্প খাতটি বছরে আনুমানিক ১৫ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে। নতুন সফটওয়্যারটি কেবল সময় সাশ্রয় করে না, বরং কর্মীদের মানসিক চাপ কমায়, কাজের মান উন্নত করে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন নিশ্চিত করে।
নতুন সফটওয়্যার নিয়ে মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্ধশতাধিক বায়ারের ডক্যুমেন্টেশন প্রসেস নিয়ে কাজ করি। গত দেড় বছর ধরে এইচ এম ও বেস্টসেলার এর ডক্যুমেন্টেশন প্রসেসগুলো আমাদের অটোমেশন সফটওয়্যারের ৩০টি মডিউল পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেছে। আমাদের এআই ও রোবটিক প্রসেসড অটোমেশনের মাধ্যমে এই দুই প্রতিষ্ঠানের ডক্যুমেন্টেশন অটোমেশনে এক কোটির মতো সল্যুশন দিতে সক্ষম হই।
ডক্যুমেন্ট ও ওয়েব অটোমেশনে নিজেরা বাংলাদেশে প্রথম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউআইসি হচ্ছে ইউ, আই এবং সি অর্থাৎ তুমি ও আমি মানে আমাদের কমার্সিয়াল। বিষয়টি বাণিজ্যিক মনে হলেও এটি আসলে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখে।
পরীক্ষামূলক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনুষ্ঠানে এপিক গ্রুপ জিএম সৈয়দ মোহাম্মদ আলী আনোয়ার, সাইহাম নিট কম্পোজিট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (লজিস্টিকস) মো. নাসির উদ্দিন, ইউনিভার্সাল মেনসওয়্যার লিমিটেডের ইনফরমেশন টেকনোলজির কনসালটেন্ট মো. নাসিম রানা, জিএমএস কম্পোজিটের কমার্শিয়াল জেনারেল ম্যানেজার, রকিবুর রহমান, অনন্ত কোম্পানিজ ডেপুটি ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) আনিসুজ্জামান সুইট, অনন্ত কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর (কমার্শিয়াল) মো. শরিফুল ইসলাম, এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) মীর শাজিব মাহমুদ, ক্রিস্টাল মার্টিন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মোঃ আব্দুল আজিজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের এসকিউ গ্রুপ মো. রফিকুল ইসলাম, সাইহাম নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার (লজিস্টিকস) নাজমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।