বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিটুবি প্লাটফর্ম এবং স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠান প্রিয়শপ এবার দেশের সর্ববৃহৎ জামানতবিহীন এবং ১ নাম্বার ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি এর সাথে একত্রে নিয়ে এসেছে লাখো রিটেলাইরদের জন্য সবচেয়ে সহজ ও ঝামেলাবিহীন ঋণ সুবিধা। সম্প্রতি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এবং প্রিয়শপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আশিকুল আলম খাঁন।
এই যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো প্রিয়শপের প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত লাখো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মূলধনের ঘাটতি দূর করা। ব্র্যাক ব্যাংকের এই জামানতবিহীন ঋণটি প্রদান করা হবে ডাটা-বেজড ক্রেডিট স্কোরিং এবং যাবতীয় লেনদেন সম্পর্কে রিয়েল-টাইম ভিজিবিলিটির মাধ্যমে। ঋণের পুরো প্রক্রিয়াটিই এমন ভাবে প্রস্তুত করা যাতে করে দোকানিরা তাদের চাহিদামাফিক ঋণ অত্যন্ত সহজে এবং দ্রুত গতিতে নিতে পারে।
সৈয়দ আব্দুল মোমেন, (অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হেড অব এসএমই ব্যাংকিং), ব্র্যাক ব্যাংক, বলেন, "এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে ইনোভেটিভ উপায়ে ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনকে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা প্ৰতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রিয়শপের ইকোসিস্টেমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঋণ প্রক্রিয়া যুক্ত করে, আমরা আর্থিক লেনদেনের জটিলতা হ্রাস করেছি এবং সারাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আনুষ্ঠানিক ঋণের দুয়ার উন্মুক্ত করেছি। এই মডেলটি গ্রামীণ উদ্যোগগুলোকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সম্ভাবনা রাখে।"
প্রিয়শপের অর্ডার ও ডেলিভারি সিস্টেমের সঙ্গে ঋণ সুবিধাটি পুরোপুরিভাবে সংযুক্ত; এর ফলে রিটেলাইরদের জামানত, কাগজপত্রের ঝামেলা অথবা সরাসরি ব্যাংকে যাওয়ার কোন প্রয়োজনই নেই। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রিয়শপের অন্তর্ভুক্ত মুদি ব্যবসায়ীরা প্ল্যাটফর্মেই যে সুবিধাগুলো পাবে তা হলো- খুব অল্প সময়েই ডিজিটাল ক্রেডিট অ্যাক্সেস, অধিক রিস্টক ও বিক্রয় বৃদ্ধির মাধ্যমে অধিক মুনাফা লাভ।
“ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি হলো সহজে লোন পাওয়া। অথচ বাংলাদেশের বেশিরভাগ মাইক্রো রিটেইলার এখনো সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত”, বলেন প্রিয়শপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আশিকুল আলম খাঁন।
“ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগিতায় আমরা এই ঋণ ব্যবস্থাকে সরাসরি আমাদের সাপ্লাই চেইনের মধ্যে এমন ভাবে যুক্ত করেছি যাতে খুচরা বিক্রেতারা আরও সহজ, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর উপায়ে তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়কে প্রসার করতে সক্ষম হন।”
এই উদ্যোগটি ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি দেশের ডিজিটাল অগ্রগতি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সার্বিক উন্নয়নে সাহায্য করবে। শুরুতেই এই এমবেডেড ক্রেডিট সুবিধা চালু করা হবে দেশের বিভিন্ন জেলার সবচেয়ে সক্রিয় ও ভালো পারফর্ম করা মুদি ব্যবসায়ীদের জন্য। পরবর্তীতে, ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ধাপে ছড়িয়ে দেওয়া হবে সারা দেশে যেন দেশের প্রতিটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এই সুবিধার আওতায় আসতে পারেন এবং সুনিশ্চিত করতে পারেন তাদের ব্যবসায়িক সাফল্য।