এআই দিয়ে ভিডিও সম্পাদনার নতুন যুগে মেটা

প্রকাশ: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
ভিডিও তৈরি ও সম্পাদনা এখন আর কেবল পেশাদারদের কাজ নয়। মেটার নতুন জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির কল্যাণে ভিডিও সম্পাদনা হয়ে উঠেছে আগের চেয়ে অনেক সহজ, দ্রুত ও সৃজনশীল।

সম্প্রতি মেটা তাদের Meta AI অ্যাপ, Meta.ai ওয়েবসাইট এবং Edits অ্যাপে নতুন একটি এআই-চালিত ভিডিও এডিটিং টুল চালু করেছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রযুক্তিগত দক্ষতা ছাড়াই অল্প সময়েই মানসম্পন্ন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

কেমন কাজ করে এই নতুন টুল?
মেটার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভিডিও সম্পাদনার জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে ৫০টিরও বেশি প্রস্তুত প্রম্পট। ব্যবহারকারী শুধুমাত্র একটি প্রম্পট বেছে নিলেই-মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই এআই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ভিডিও সম্পাদনা করে দেবে।

>> শুধু তাই নয়, এই প্রম্পটগুলো ব্যবহার করে ভিডিওর:
>> দৃশ্যপট ও পরিবেশ
>> রঙের ধরন
>> পোশাকের ডিজাইন
>> আলো ও ফোকাস ইফেক্ট।

সহ বিভিন্ন দিক খুব সহজে বদলানো যাবে। কোনো জটিল সফটওয়্যার শেখার দরকার নেই-এআই-ই করে দেবে সবকিছু।

কাদের জন্য, কোথায় পাওয়া যাবে?
এই সুবিধাটি প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশে চালু করা হয়েছে। যারা Meta AI অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করছেন, তারা চাইলে তৈরি করা ভিডিও সরাসরি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে পারবেন। এ ছাড়া, Meta.ai-এর ‘Discover’ ফিডে ভিডিও প্রকাশের সুযোগও থাকছে।

২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ব্যবহারকারীরা শুধু প্রস্তুত প্রম্পটই নয়, নিজেদের লেখা কাস্টম প্রম্পট দিয়েও ভিডিও সম্পাদনা করতে পারবেন। এতে করে কল্পনাশক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা যাবে ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে।

মেটার দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ
মেটা অনেক আগে থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভিডিও তৈরির প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। ২০২২ সালে তারা ‘Make-A-Scene’ চালু করেছিল, যা দিয়ে ছবি, অডিও, ভিডিও ও থ্রিডি অ্যানিমেশন তৈরি সম্ভব। ২০২৩ সালে আসে ‘LLaMA Image’, যা উন্নতমানের ছবি ও ভিডিও জেনারেট করতে পারে। এর পরপরই আসে ‘MovieGen’, যা প্রম্পট থেকে ভিডিও তৈরি, শব্দ প্রক্রিয়াকরণ ও সম্পাদনার কাজ করতে সক্ষম।

এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির এই সময়ে মেটার নতুন ভিডিও সম্পাদনা টুল শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নয়-সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্যও এক বড় সুযোগ। এটি শুধু প্রযুক্তির democratization নয়, বরং সৃজনশীলতার এক নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন। খুব শিগগিরই হয়তো আমাদের হাতে থাকবে এমন একটি শক্তিশালী এআই সহকারী, যার সাহায্যে আমরা চাইলেই এক মিনিটে বানিয়ে ফেলতে পারব সিনেমার মতো ভিডিও। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
image

আপনার মতামত দিন