গ্লোবাল মুসলিম ট্রাভেল ইনডেক্সে উঠে আসা সেরা ১০ অমুসলিম দেশ

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব পর্যটন শিল্পে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে, বিশেষ করে মুসলিম ভ্রমণকারীদের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের ফলে। মুসলিম ভ্রমণকারীদের ধর্মীয় চাহিদা, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের ধরনকে গুরুত্ব দিয়ে গড়ে উঠছে নতুন ধরনের আতিথেয়তা ও পর্যটন ব্যবস্থা।

মুসলিম পর্যটনে বড় পরিবর্তন
মাস্টারকার্ড-ক্রিসেন্ট রেটিং-এর গ্লোবাল মুসলিম ট্রাভেল ইনডেক্স (GMTI) ২০২৫ অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে মুসলিম পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১৭৬ মিলিয়ন, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনটি ধারণা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ২৪৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে, এবং তখন মুসলিম ভ্রমণকারীদের ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এছাড়া উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ৬০ বছরের বেশি বয়সী মুসলিম পর্যটকেরা এখন বিশ্ব ভ্রমণ ব্যয়ের প্রায় ১৫ শতাংশ খরচ করছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে তাঁদের মোট ব্যয় হতে পারে প্রায় ২.৬৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বয়সের পর্যটকেরা সাধারণত অফ সিজনে দীর্ঘ সময় নিয়ে ঘুরে বেড়ান এবং তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যয় করতেও প্রস্তুত থাকেন-যা পর্যটন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ।

মুসলিমবান্ধব অমুসলিম দেশের শীর্ষ ১০
প্রতিবছরের মতো এবারও প্রকাশিত হয়েছে ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ তালিকা। এখানে এমন ১০টি অমুসলিম দেশের নাম রয়েছে, যারা মুসলিম পর্যটকদের জন্য সেবা ও সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে তুলেছে।

নিচে তালিকাটি দেওয়া হলো:

সিঙ্গাপুর: টানা কয়েক বছর ধরে শীর্ষে অবস্থান ধরে রেখেছে দেশটি। এবার পেয়েছে ৭১ পয়েন্ট, যা আগের বছরের চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেশি।

যুক্তরাজ্য: শক্তিশালী মুসলিম সম্প্রদায় ও হালাল রেস্তোরাঁর উপস্থিতির কারণে জায়গা ধরে রেখেছে।

হংকং: পর্যটকদের জন্য আলাদা প্রার্থনার স্থান ও হালাল খাবারের সহজলভ্যতা।

তাইওয়ান: সরকারিভাবে হালাল পর্যটনকে উৎসাহিত করছে।

থাইল্যান্ড : মুসলিমবান্ধব হোটেল ও নামাজের ব্যবস্থা নিয়ে জনপ্রিয়।

আয়ারল্যান্ড: প্রথমবারের মতো তালিকায় উন্নীত।

অস্ট্রেলিয়া: শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মুসলিম পর্যটকের জন্যও নিরাপদ ও সুবিধাজনক গন্তব্য।

ফিলিপাইনস: দক্ষিণাঞ্চলে মুসলিম জনগোষ্ঠী ও হালাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে।

স্পেন: ঐতিহাসিক আন্দালুসিয়ান ইসলামি ঐতিহ্য ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে।

জার্মানি: প্রার্থনার স্থান, হালাল খাবার ও ইসলাম-সচেতন সেবা বাড়ানোয় তালিকায় উঠে এসেছে।

 মুসলিমবান্ধব সেবায় বাড়ছে গুরুত্ব
অমুসলিম দেশগুলো এখন হালাল সার্টিফায়েড রেস্তোরাঁ, আলাদা নামাজের স্থান এবং ধর্ম-বান্ধব আতিথেয়তা ব্যবস্থায় প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরিতে নজর দিচ্ছে। ফলে, মুসলিম ভ্রমণকারীদের কাছে এসব দেশ হয়ে উঠছে আরও আকর্ষণীয় ও আরামদায়ক ভ্রমণ গন্তব্য।

পর্যটন শুধু আরাম বা বিনোদনের বিষয় নয়, বরং তা এখন বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের প্রতিফলনও বটে। মুসলিম ভ্রমণকারীদের বাড়তি চাহিদা মেটাতে যেসব অমুসলিম দেশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে, তারা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের পর্যটন মানচিত্রে এগিয়ে থাকবে। সূত্র: মাস্টারকার্ড ডটকম

image

আপনার মতামত দিন