ডেঙ্গু থেকে বেশি চোখ রাঙাচ্ছে চিকুনগুনিয়া

প্রকাশ: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png নিজস্ব প্রতিবেদক
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছাপিয়ে মারাত্মক হয়ে উঠেছে চিকুনগুনিয়া। নগরের দুটি বেসরকারি ল্যাবের তথ্যমতে, নমুনা পরীক্ষায় প্রায় ৮৭ শতাংশের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে। ৪ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে ৯ জুলাই চট্টগ্রামে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১০ জনের, করোনা শনাক্ত ৩ জনের।

চট্টগ্রামে সরকারিভাবে চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। এ কারণে বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষার পর চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। নগরের বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ার ৪ জুলাই থেকে, পার্কভিউ হাসপাতালে ৮ জুলাই এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগে থেকেই আরটিপিসিআর ল্যাবে চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে এপিক হেলথ কেয়ার ও পার্কভিউ হাসপাতালের ল্যাবের তথ্য আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে ৯ জুলাই ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়। এর আগে ৮ জুলাই ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের, ৭ জুলাই ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের, ৬ জুলাই ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জনের, ৫ জুলাই ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সবার এবং ৪ জুলাই একজনের পরীক্ষা করে তাঁর চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়। ৬ দিনে ১৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২০ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে। এই হিসাবে ১৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৮ শতাংশের চিকুনগুনিয়া ধরা পড়েছে। এদিকে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার এক দিনে ১০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়। এর আগে ৮ ও ৯ জুলাই ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়। এই হাসপাতালে চিকুনগুনিয়া শনাক্তের হার প্রায় ৮২ শতাংশ। মোটের ওপর এই দুই হাসপাতালের ল্যাবে ১৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৮ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৮৭ শতাংশ। 

এ বিষয়ে এপিক হেলথ কেয়ারের হেড অব মেডিকেল সার্ভিস হামিদ হোছাইন আজাদ বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি আমরা নিয়মিত সিভিল সার্জনের কার্যালয়কে অবহিত করছি।’ তবে পার্কভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউ এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে চাননি।

চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, অনেকের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। লক্ষণ মিলে যাওয়ায় পজিটিভ আসছে। সবার সতর্ক ও সচেতন থাকা জরুরি। মশারি ছাড়া যেন কেউ না ঘুমায়। তিনি বলেন, মশার কামড়ে ছড়ানো একটি ভাইরাস হলো চিকুনগুনিয়া। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশের দুই থেকে চার দিনের মধ্যে জ্বর শুরু হয়, গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়। কারও কারও মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া এবং শরীরে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।

image

আপনার মতামত দিন