নিজেদের বার্ষিক প্রযুক্তি সম্মেলন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স (ডব্লিউডব্লিউডিসি) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক, এয়ারপডস, ভিশন প্রোসহ সব সব যন্ত্রের জন্য নতুন অপারেটিং সিস্টেম আনার পাশাপাশি নতুন নকশা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি যুক্তের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল।
অ্যাপল তাদের প্রযুক্তি দুনিয়ায় আবারো একটি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। এবার অ্যাপল তাদের সব অপারেটিং সিস্টেমে সংস্করণ নম্বরের পরিবর্তে এখন থেকে প্রকাশের বছরের নাম ব্যবহার করবে। অর্থাৎ এখন থেকে iOS বা macOS-এর নতুন সংস্করণ চেনা যাবে নির্দিষ্ট বছরে প্রকাশিত সংস্করণ হিসেবেই।
২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর আইওএসের নতুন সংস্করণ বের করত অ্যাপল। ফলে ধারাবাহিকভাবে ২০২৪ সালে এসে কোম্পানিটি ‘আইওএস ১৮’তে পৌঁছে গিয়েছিল। অ্যাপলের এ সংখ্যা ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, এর মাধ্যমে তারা জানতে পারেন, তাদের ফোনে অ্যাপলের নতুন বিভিন্ন ফিচার আছে কি না। প্রায় ৮২ শতাংশ আইফোন ব্যবহারকারী এক বছরের মধ্যে আইওএস ১৮-এ আপগ্রেড করেছেন।
এখন থেকে অ্যাপল তাদের আইফোন ও অন্যান্য ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমের নামকরণ করবে সেই বছরের নামে। এ ক্ষেত্রে, এবারের নাম হবে ২০২৬।
নতুন সংস্করণগুলোর নাম রাখা হয়েছে-
>>আইওএস ২৬,
>>আইপ্যাডওএস ২৬,
>>ম্যাকওএস ২৬,
>>ওয়াচওএস ২৬,
>>টিভিওএস ২৬
>> ভিশনওএস ২৬।
কেন এই পরিবর্তন?
অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে naming system-কে সহজ ও ব্যবহারকারী-বান্ধব করা। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সংস্করণ নম্বরের ধারাবাহিকতা (যেমন iOS 17, 18, 19...) বুঝতে কিছুটা জটিল হতে পারে। তবে “iOS 26” দেখলেই বোঝা যাবে এটি ২০২৬ সালে প্রকাশিত সংস্করণ- সরল, সরাসরি এবং বছর অনুসারে সুসংহত।
কবে আসছে এই আপডেট?
এই নতুন নামের অপারেটিং সিস্টেমগুলোর চূড়ান্ত সংস্করণ ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সেপ্টেম্বরে ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসটিকে আইওএস ২৬-এ আপগ্রেড করবেন। অ্যাপলের অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের নামও একইভাবে হবে। যেমন-আইপ্যাডওএস ২৬, ওয়াচওএস ২৬, টিভিওএস ২৬ এবং ভিশন ওএস ২৬।
কী থাকছে নতুন?
নাম বদলের পাশাপাশি প্রতিটি সিস্টেমে যুক্ত হচ্ছে নতুন সব ফিচার। বিশেষত Apple Intelligence ভিত্তিক একাধিক AI টুলস, উন্নত পারফরম্যান্স এবং আরও নিরাপদ ও স্মার্ট ইকোসিস্টেম।