টিকটক নিয়ে আবার আলোচনায় ট্রাম্প, জানালেন সম্ভাব্য নতুন ক্রেতার কথা

প্রকাশ: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে অ্যাপটির বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই জটিলতার মাঝেই আবার আলোচনায় এলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প।

টিকটক কিনতে আগ্রহী ‘অত্যন্ত ধনী’ কিছু ব্যক্তি
সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, একদল ‘অত্যন্ত ধনী’ ব্যক্তি টিকটক কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদিও তিনি কারা এই সম্ভাব্য ক্রেতা, তা বিস্তারিত জানাননি। শুধু বলেছেন, “দুই সপ্তাহের মধ্যেই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “চুক্তিটি সফল হতে হলে চীনের সম্মতি লাগবে। আমি মনে করি, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই অনুমতি দেবেন।”

টিকটক কেন আলোচনায়?
টিকটকের মূল কোম্পানি চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স। আর এটি নিয়ে অনেক আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সরকার সন্দেহ পোষণ করছে যে, এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা সরকার সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়াও অ্যাপটির অ্যালগরিদম নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, এতে চীনা কর্তৃপক্ষ সহজেই মানুষের সামনে নিজেদের পছন্দমতো ভিডিও বা তথ্য তুলে ধরতে পারে, যা মানুষের মতামত গঠনে প্রভাব ফেলতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়েছিল, আবার চালুও হয়
২০২৪ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন “প্রটেকটিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভারসারি কনট্রোলড অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট” নামের একটি আইনে সই করেন। এর ফলে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়ে যায়।

তবে টিকটক ব্যবহারকারীদের মধ্যে দ্রুতই আলোড়ন সৃষ্টি হয়, আর বন্ধ হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অ্যাপটি আবার চালু হয়ে যায়।

ট্রাম্পের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিনেই একটি নতুন নির্বাহী আদেশে সই করেন, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে চালু রাখার মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রথমে এটি বাড়ানো হয় এপ্রিল পর্যন্ত, পরে আবার ১৯ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়। এই সময়ের মধ্যেই টিকটকের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

টিকটকের আইনি লড়াই
এদিকে টিকটক এই পুরো প্রক্রিয়াকে অন্যায় বলে মনে করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আইনি লড়াই শুরু করেছে। টিকটকের দাবি, তাদের কোনো ভুল প্রমাণ ছাড়াই এভাবে বন্ধ করার উদ্যোগ মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।

টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি। তবে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, একটি বড় ধরনের চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সেটি চূড়ান্ত হয় এবং চীন থেকে অনুমোদন মেলে, তবে টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিকভাবেই চলতে পারবে, তবে এবার আর চীনা নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায়। সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট, বিবিসি  

 

 

image

আপনার মতামত দিন