নবম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীর উদ্ভাবন, ‘ডেলিগো’ রোবট পৌঁছে দেবে জরুরি ওষুধ

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
https://www.techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়াই নির্দিষ্ট ঠিকানায় পণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম রোবট তৈরি করেছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী। ‘ডেলিগো’ নামের ব্যাটারিচালিত রোবটটি নিজস্ব চার্জিং স্টেশন থেকে নিজেই চার্জ করার পাশাপাশি রাস্তার নির্দিষ্ট লেন ধরে গন্তব্যে পণ্য পৌঁছাতে পারে। 

গত মে মাসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর বাংলাদেশ পর্বে রোবটটির কার্যকারিতা প্রদর্শন করে ইনোভেটিভ সোশ্যাল সায়েন্সেস বিভাগ থেকে সিলভার মেডেলও পেয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, জাতীয় পর্বে বিজয়ী হওয়ায় আগামী সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় বিশ্ব উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ারও সুযোগও পেয়েছে।

নিজেদের তৈরি ডেলিগো রোবট নিয়ে  তিন নির্মাতা রেদওয়ান আবরার, সামিন ইয়াসির সিদ্দিকী ও মিনহাজ ইসলাম জানায়, ডেলিগো একটি স্বয়ংক্রিয় রোবট। খাবার, মুদিদোকানের পণ্য, পার্সেল এবং জরুরি ওষুধ সরবরাহ করা ছাড়াও জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজেও সহায়তা করতে পারে রোবটটি।

রোবটের কারিগরি দিক তুলে ধরে রেদওয়ান আবরার জানায়, বিশ্ব উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী (ডব্লিউআইসিই) হলো একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিযোগিতা, যেখানে বিভিন্ন দেশের উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায় আয়োজন করা হয়, সেখানে বিজয়ী হয়ে আমাদের দল ‘এসিপিএস’ আন্তর্জাতিক পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। 

সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে রোবোটটি উপস্থাপন করব আমরা। এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণ উদ্ভাবকদের তাদের ধারণাগুলো তুলে ধরতে উৎসাহিত করা এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া। এই প্রতিযোগিতায় স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের তৈরি বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন করবে।

চার চাকাবিশিষ্ট রোবটটি সোজা পথে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার গতিতে পথ চলতে পারলেও আঁকাবাঁকা পথে একই সময়ে ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ৭ কিলোমিটার যেতে পারে। জিপিএস ও ক্যামেরার পাশাপাশি ২০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি থাকায় পথ চিনে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারে রোবটটি। ওটিপি এবং কার্ড সুইপের মাধ্যমে ক্রেতাদের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম রোবটটি সর্বোচ্চ ১ ফুট বাই ১ ফুট আকারের বক্স বহন করতে পারে। রোবোটটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। সূত্র: প্রথম আলো

image

আপনার মতামত দিন