প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে শেষে না ফেরার দেশে গেলেন ফাদার লেনার্ড শঙ্কর রোজারিও, সিএসসি। ২১ জুন (শনিবার) তিনি ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৫৮ বছর।
ফাদার লেনার্ড শঙ্কর রোজারিও, সিএসসি ছিলেন একজন সদা প্রাণবন্ত, নম্র, বিনয়ী,দূরদর্শি এবং প্রার্থনাশীল মানুষ। তিনি সবসময় হাসিমুখে, নীরবে কাজ করে গেছেন।
তাঁর নিষ্ঠা, মানবিকতা এবং পবিত্র আত্মত্যাগ আমাদের সকলের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তাঁর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল যীশুর সেবা ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত।
তিনি ১৯৬৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটিয়া ধর্মপল্লীর ছোট সাতানিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ধর্মজীবনের পথে তিনি প্রথম প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন ১৯৯০ সালের ১৫ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রতিজ্ঞা সম্পন্ন করেন ১৯৯৭ সালের ১১ এপ্রিল এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের ২ জানুয়ারি পুরোহিত হিসেবে অভিষিক্ত হন।
তিনি নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি অতি বিচক্ষণতা ও সাহসীকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতেন। তার এ অকাল প্রয়াণে পবিত্র যাজক সংঘ ও নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ও নিষ্ঠাবান অভিভাবককে হারাল।
তিনি বাংলাদেশ মণ্ডলীর বিভিন্ন ধর্মপল্লীতে অনেক গুরুত্বের সাথে বিভিন্ন ধরনের পালকীয় সেবা দিয়ে গেছেন। তার মধ্যে পীরগাছা সাধু পৌলের ধর্মপল্লী, বান্দরবান ফাতেমা রাণী ধর্মপল্লী, জলছত্র কর্পোস খ্রিস্টি ধর্মপল্লী, লক্ষীবাজার পবিত্র ক্রুশ গীর্জা, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা এবং নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ তিনি তার পালকীয় সেবাকাজ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ২২ জুন (রবিবার) সারাদিন ফাদারের মৃতদেহ নটরডেম ক্যাম্পাসে রাখা হবে এবং সন্ধ্যা ৫:৩০ মিনি ম্যাথিস হাইজের চ্যাপেলে পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হবে।
পরিশেষে ২৩ জুন (সোমবার) সকাল ১১টা রাঙ্গামাটিয়ায় ধর্মপল্লীতে পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হবে। আর একই দিনে বিকাল ৩ :০০ টায় ভাদুনে অবস্থিত পালকীয় ও নির্জন কেন্দ্রের চ্যাপেলে পবিত্র খ্রিস্টযাগের পরে তাকে সমাহিত করা হবে। সূত্র: আরভিএ