এবার সিরিয়ার গির্জায় আত্মঘাতী হামলা। নিহত কমপক্ষে ২০ জন। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস শহরে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল, প্রচুর মানুষ আহত হয়েছে। আরও মৃত্যু বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রবিবার দামাস্কাস শহরের মার এলায়াস গির্জার ভিতরে প্রার্থনা চলাকালীন এক আত্মঘাতী হামলাকারী ঢুকে পড়ে। আচমকাই নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে সে। তারপর নিজেকেও গুলি করে। ওই হামলাকারীর শরীরে বোমা বাঁধা ছিল। গুলির সঙ্গে সঙ্গে বোমাটি ফেটে যায়। গির্জার ভিতর বিকট শব্দে বড়সড় বিস্ফোরণ হয়।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় নিরাপত্তা কর্মী এবং পুলিশ। সকলকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনা প্রসঙ্গে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, দায়েশ (আইএস) জঙ্গি সংগঠন-সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি রাজধানী দামেস্কের দোয়েলা এলাকার সেইন্ট ইলিয়াস গির্জায় প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। এরপর সে তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকযুক্ত বেল্ট ব্যবহার করে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিজের দেহে বিস্ফোরণ ঘটায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা জানায়, এই হামলায় ২০ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে দেশের সব সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের অবমাননা করার মরিয়া প্রচেষ্টা এবং একইসঙ্গে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার উদ্যোগ বলে অভিহিত করে।
ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে নতুন সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর এটাই এ ধরণের আত্মঘাতী হামলার প্রথম নজির। জাতিসংঘ এই হামলার প্রতি নিন্দা জানিয়েছে।
সিরিয়ার নতুন শাসকদের সামনে দেশের নাগরিকদের, বিশেষত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার এ বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য সিরিয়ার সরকারকে তাগিদ দিচ্ছে। সূত্র: এএফপি ও সানা