গুগল ম্যাপসে ‘গালফ অব মেক্সিকো’র নাম যুক্তরাষ্ট্রে ‘গালফ অব আমেরিকা’ হিসেবে দেখানোর কারণে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মেক্সিকো সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তবে কোথায় এবং কবে এটি দাখিল করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাননি তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে গত জানুয়ারিতে ‘গালফ অব মেক্সিকো’র নাম বদলে ‘গালফ অব আমেরিকা’ করেছেন। গুগল জানিয়েছিল, ট্রাম্পের এই আদেশের ভিত্তিতেই তাদের ম্যাপস প্ল্যাটফর্মে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল।
শেইনবাউম বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে উপসাগরটির নাম পরিবর্তন করা হলেও তা কেবল মার্কিন জলসীমার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পুরো উপসাগরের নাম বদলের কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
শেইনবাউম বলেন, ‘আমরা কেবল চাই, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের যে ডিক্রি (সরকারি আদেশ) আছে, সেটি যেন যথাযথভাবে মানা হয়।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে গুগল ম্যাপে ‘গালফ অব মেক্সিকো’র নাম বদলে ‘গালফ অব আমেরিকা’ দেখানো শুরু করে গুগল। তার আগের মাসেই তারা এই পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিল।
সেই সঙ্গে গুগল জানিয়েছিল, তারা কেবল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এটি জিওগ্রাফিক নেমস ইনফরমেশস সিস্টেমে (জেএনআইএস) আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তন করার অপেক্ষায় রয়েছে। এই জেএনআইএস হলো যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-নামবিষয়ক ‘ফেডারেল ও জাতীয় মানদণ্ড’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গুগলের এই সিদ্ধান্তের পর মেক্সিকো সরকার কোম্পানিটিকে অনুরোধ করে এই নাম পরিবর্তন পুনর্বিবেচনার জন্য। তবে গুগল অনুরোধে সাড়া না দিলে সরকার মামলার হুমকি দেয়।
গুগলের ভাষ্য, এটি তাদের দীর্ঘদিনের নীতিমালারই অংশ, যার আওতায় স্থানীয় নামকরণ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দেশের ম্যাপে ভিন্ন নাম দেখানো হয়ে থাকে।
ফলে, মেক্সিকো থেকে গুগল ম্যাপ খোলা হলে এখনো ‘গালফ অব মেক্সিকো’ নামই দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গুগল ম্যাপে দেখানো হচ্ছে ‘গালফ অব আমেরিকা’। আর যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো উভয় দেশের বাইরের ব্যবহারকারীদের জন্য এটি দেখানো হচ্ছে ‘গালফ অব মেক্সিকো’ নামে। সূত্র: বিবিসি