প্রবাসী ও স্থানীয়দের মধ্যে যোগাযোগের নতুন সেতু গড়তে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো ডিমহাম নামের একটি উদ্ভাবনী ক্রাউডশিপিং সেবা। নিউইয়র্কভিত্তিক এই প্রযুক্তিনির্ভর স্টার্টআপটির সহ-প্রতিষ্ঠাতারা বাংলাদেশি। ডিমহাম ইতোমধ্যে তাদের দৃষ্টি প্রসারিত করেছে-পরবর্তী ১৮ মাসে কানাডা, ভারতসহ বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে এই সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
ডিমহাম কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?
ডিমহাম একটি ক্রাউডশিপিং প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে যাত্রীরা অন্যদের ব্যক্তিগত পণ্য নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেন। প্রেরকরা মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডেলিভারি রিকোয়েস্ট দেন, এরপর যাচাইকৃত যাত্রীরা নিজেদের ভ্রমণপথ অনুযায়ী সেই অনুরোধ গ্রহণ করেন এবং পণ্যটি হাতে হাতে গ্রহণ ও গন্তব্যে পৌঁছে দেন।
এই সেবায় রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তাব্যবস্থা-Plaid ব্যবহার করে আইডি ভেরিফিকেশন এবং Stripe দিয়ে নিরাপদ পেমেন্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে করে উভয় পক্ষ-প্রেরক ও যাত্রী-নির্ভরতার সঙ্গে লেনদেনে অংশ নিতে পারেন।
শুধু একটি অ্যাপ নয়, একটি মানবিক নেটওয়ার্ক
ডিমহামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, “ডিমহাম শুধু একটি কুরিয়ার নয়, এটি প্রবাসী ও স্থানীয় মানুষের মাঝে হৃদয়ের সেতুবন্ধন। আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মানুষকে আরও কাছাকাছি আনতে চাই। তাই ডিমহাম শুধু একটি অ্যাপ নয়-এটি বিশ্বাস, যোগাযোগ এবং সহানুভূতির বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক।”
কেন ডিমহাম বেছে নেবেন?
>> দ্রুত ডেলিভারি: সাধারণ কুরিয়ারের চেয়ে অনেক দ্রুত-কারণ যাত্রীর মাধ্যমেই পৌঁছায় পণ্য
>> সাশ্রয়ী খরচ: তুলনামূলকভাবে কম খরচে পণ্য পাঠানোর সুযোগ
>> নিরাপদ: যাচাইকৃত ভ্রমণকারী এবং সুরক্ষিত পেমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ভরতা
>> বিভিন্ন পণ্য পাঠানোর সুবিধা: উপহার, কাপড়, ল্যাপটপ, ওটিসি ওষুধ, প্রয়োজনীয় নথিপত্র ইত্যাদি
যারা প্রবাস থেকে দেশে বা দেশ থেকে প্রবাসে নিরাপদ, দ্রুত ও কম খরচে পণ্য পাঠাতে চান-তাদের জন্য ডিমহাম হতে পারে আদর্শ সমাধান। শুধু পণ্য নয়, এটি প্রবাসীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংযোগের এক মানবিক ব্রিজ।